প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০১৭ ৯:০০ এএম

নিউজ ডেস্ক::
ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যকে ঘরে তুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার স্বামী। ইতিমধ্যে তিনি তালাকের প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন।

স্বামীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দ্বারা স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে। পুরো এলাকায় রটে গেছে তার স্ত্রী একজন ধর্ষিতা। এ কারণে তিনি তাকে তালাক দেবেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে ওই নারী সদস্যকে পুলিশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তির পর তার স্বামী তালাকের ঘোষণা দেন।

স্বামী বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে একটিবারের জন্যও ওসিসিতি দেখতে যাইনি।’

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শিক্ষার্থী ও সুধী সমাজের ব্যানারে চন্ডিপুর পাকা রাস্তায় এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের লাইব্রেরির কক্ষে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের সময় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জান্নাতকে আটক করে এলাকাবাসী।

এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে এলাকাবাসী ধর্ষক চেয়ারম্যান এবং ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

নির্যাতিত ওই নারী ইউপি সদস্য পুলিশকে জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন তাকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে লাইব্রেরির কক্ষে নিয়ে যায়। কথামত ওই কক্ষে প্রবেশ করলে দরজা-জানালা বন্ধ করে প্রথমে কু-প্রস্তাব দেয় আলাউদ্দিন। এক পর্যায়ে প্রকল্প পাইয়ে দেয়ার নামে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

বাঘা থানার ওসি আলী মাহামুদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে নারী সদস্যকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকালে আটক ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

সংকট না কাটলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অসম্ভব, আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ফিরলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মিয়ানমারের ভেতরেও অনেক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ...

ডাকসুর ভিপি সাদিক ও জিএস ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে ...